কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে ব্যাখ্যা করো

আসসালামু আলাইকুম, এখানে আজকে আমি কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে ব্যাখ্যা কর এবং কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে আমাদের সহায়তা করে এছাড়াও বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা কৃষির জাতীয় উন্নয়ন ইত্যাদি অর্থাৎ কৃষি উন্নয়নের সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এগুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে  ব্যাখ্যা করো
আজকে আমি আবার এই পোষ্টের মাধ্যমে কৃষি জাতীয় উন্নয়নের সহায়তা করে এবং কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে আমাদের সহায়তা করে এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের আলোচনা এবং বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অনেক ধারণা দেব যাতে করে আপনারা এই পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হন। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ এ দেশের সকল উন্নয়নের মূলে রয়েছে কৃষি। কৃষি এবং কৃষক এই দুটি একে অপরের সাথে জড়িত। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এই সকল বিষয় জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ কারণ আমাদের দেশের প্রায় ৮০ভাগ মানুষই কৃষির সাথে জড়িত। কৃষির উন্নয়ন হলে তবে আমাদের দেশের উন্নয়ন হবে এবং আমাদের উন্নয়ন হবে। কৃষির উন্নয়ন করার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে হবে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে যাতে করে আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়ন যথাযথভাবে সম্ভব হয়। আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কৃষকেরা অনেক সময়


ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়ে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয় এ সকল কারণ বিবেচনা করে আমাদের দেশের কৃষকদের এখন নানা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ভর্তুগির ব্যবস্থা করার ভেতর সার ও কীটনাশক ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন রকম ট্রাক্টর হারভেস্ট ও পাওয়ার টিলার কৃষকদের মাঝে দেওয়া হচ্ছে এতে করে তারা কৃষিকাজের উন্নতি করতে পারে এবং বিভিন্ন রকমের খাদ্যশস্য উৎপাদন করে আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা এবং পুষ্টি চাহিদা ও পূরণ করতে পারে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই কৃষির সাথে জড়িয়ে আছে এখনো কৃষিভিত্তিক নানা কাজ করার মাধ্যমে এদেশের কৃষকেরা দেশের উন্নয়ন করছে এছাড়াও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছে এই কৃষি কাজের মাধ্যমে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষার ২০১৮ সালের তথ্য এর ভিত্তিতে শ্রমশক্তির মোট ৪০.৬ ভাগ যোগান দেয় কৃষি এবং জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪.১০ শতাংশ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে, দারিদ্র দূরীকরণ করার ক্ষেত্রে এবং খাদ্য নিরাপত্তা


ও মানবসম্পদ উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কৃষিখাতের ভূমিকা রয়েছে অনেক। কৃষি হচ্ছে আমাদের দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি কারণ কৃষির সাথে আমাদের জীবন এবং জীবিকা দুটোই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কৃষির উন্নয়ন হলে আমাদের দেশের উন্নয়ন হবে এতে করে সরকারের অনেক অবদান রয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে এখন নানা ধরনের পদক্ষেপ এবং ফসল চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক কলা কৌশল ব্যবহার করার ফলে খাদ্য শস্য উৎপাদন করা যেমন সহজ এবং সময়

কম লাগছে তেমনি নিরাপত্তার দিক নিশ্চিতকরণ রপ্তানি করা এগুলোর ক্ষেত্রে কৃষির অনেক অবদান রয়েছে। এখন আমাদের দেশের আবহাওয়া- জলবায়ু ,বন্যা, লবণাক্ততা, বৈরী প্রকৃতি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিসের জমি কমাসহ নানারকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। এখন ধান, গম ও ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসল উৎপাদনের গড় পরিমাপকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। এখন আমাদের

দেশের সরকার কিসের উন্নয়ন করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে খাদ্যশস্য উৎপাদন এবং কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সামনে রেখে। বাংলাদেশে এখন খাদ্য শস্য উৎপাদনের দিক থেকে দশম স্থানে আছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১৫.৭৪ লাখ মেট্রিক টন এবং খাদ্যশস্য উৎপাদন ৪৩২.১১ লাখ মেট্রিক টন যা বেড়ে গেছে। এখন ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থতম এবং ভুট্টা উৎপাদন ও বেড়ে গেছে ৪৬ লাখ টন।

সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় এবং আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম। আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২৪ লাখ টনে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের সবজি ফল ও ফুল রপ্তানি এবং বাজার ব্যবস্থা উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে এখন। এছাড়াও বাদাম ও কফি অর্থকরী ফসল চাষ করার ব্যবস্থা এখন উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কাজ করছে অর্থাৎ এখন আমাদের দেশের কৃষকেরা প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য ফসল আবাদ করছে আর এ সকল কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা অনেক।

কৃষি উন্নয়ন কি এবং কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প

কৃষি উন্নয়ন হচ্ছে কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন কলা কৌশলের ভিত্তিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করে কৃষির উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে বোঝানো বা দেখানো তবেই কৃষি উন্নয়ন হবে। আমাদের দেশে কৃষি ও কৃষক এ দুটি শব্দ একে অপরের সাথে জড়িয়ে আছে কৃষির উন্নয়ন হলে কৃষকের উন্নয়ন হবে। আমাদের দেশের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং কৃষির সাথে জড়িত আছে ৮০ ভাগ মানুষ এবং কৃষি থেকে ৪১ শতাংশ মানুষের কর্ম হয়।


বর্তমানে কৃষি ১৬.৫ কোটি বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির বিধান করে থাকে এবং এর সাথে বিভিন্ন শিল্পের ও কাঁচামালের যোগান দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন অনেক পরিবর্তন শীল এজন্য এখন আমাদের দেশে নানা রকমের শাকসবজি ও ফসল খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হচ্ছে সহজেই। এখন বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং কলা কৌশল ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে দিন দিন। এখন সরকার কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কৃষি

উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং তার সঠিক কাজ করছে। যাতে করে আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়নটা যথাযথভাবে ভালো হয় এবং কৃষকদেরও কোন সমস্যা যেন না হয় এতে করে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বিশাল ভাবে। বর্তমানে এখন কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে পার্টনার নামের একটি সবচেয়ে বড় প্রকল্প যা বাংলাদেশের টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষির রূপান্তর করার মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এর মূল লক্ষ্য। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের কৃষি উন্নয়ন

প্রকল্প যেমন কৃষি ও কৃষকের কথা বিভিন্ন সমস্যা হলে তার সমাধান করার চেষ্টা করা এর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প ও গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে কোন ফসলে কি পরিমান পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে তার দিকেও লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে এ সকল বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বর্তমানে কৃষি উন্নয়ন এখন আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং আমাদের দেশের খাদ্য শস্য এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে এবং পুষ্টির ও যোগান দিতে পারছে কৃষকেরা।

বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষির অবস্থা অনেক উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে কারণ বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ার কারণে নদীর থেকে পলি কৃষি জমিতে এসে পড়ে এবং এর জন্য ফসল ভালো হয়। এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু ,বৈরী পরিবেশ প্রকৃতি, ঝড় ও বন্যা ইত্যাদি হওয়ার কারণে ও এদেশের কৃষকেরা এখন তাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়ে ফসল উৎপাদন করছে এবং এটা প্রমাণ করেছে যে তারা এখন অনেক উন্নতি করেছে কিসের এবং ধান গম ভুট্টা সবজি গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে 

এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয় এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। বাংলাদেশের সরকার এখন কৃষি বান্ধব বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর কাজ করছে সরকার এখন ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকদের মাঝে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে এই অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে তাদের পানি সেচের ভর্তুকীর টাকা কৃষকের একাউন্টে সরাসরি চলে যাচ্ছে এবং ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষকদের বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ সম্ভব হয়েছে।

দেশের সরকার সরকারিভাবে ৬৫টি জেলায় ২৫ শতাংশ হারে পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর, হারভেস্ট এবং বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের মাঝে ভর্তুকিতে দিয়েছে। এছাড়াও এখন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার এবং বীজ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে বছরে দুটি করে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে এ সকল উন্নয়নমূলক কাজ কৃষকদের মাঝে সরকার দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে কৃষির উন্নয়ন হয় ।আর এ সকল সবই সম্ভব হয়েছে সরকারের বিভিন্ন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। কৃষির ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশে অবস্থা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে ।

বাংলাদেশের কৃষি সমস্যা ও সমাধান

বাংলাদেশে কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু এখনো কিসের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি বিভিন্ন কারণে ফলন একর প্রতি ফলন কম হয় অন্যান্য দেশের তুলনায় নিচে বাংলাদেশের কৃষি সমস্যা সম্পর্কে বলা হলো

আধুনিক যন্ত্রপাতির কম ব্যবহার হয়ঃ বাংলাদেশে ধান উদপাদন করার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির কিছু উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে তা এখনো সুদূরপ্রসারী হয়নি। ফসল চাষ করার ক্ষেত্রে যেমন উন্নত মানের বীজ সেচ সার কীটনাশক ব্যবহার করে যেমন ফলন ভালো হয় তেমনি আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করার ফলেও কৃষির উন্নয়ন করা যায়।

অপর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ করাঃ আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। ঠিক সময় যেমন সার দিতে হয় শেষ দিতে হয় এবং কীটনাশক ব্যবহার করলে যেমন ফলন ভালো হয় এর জন্য বাজারে অনেক সময় সার বীজ এবং কীটনাশকের অভাব দেখা দেয় অনেক সময় জ্বালানির অভাবের কারণে জমিতে পানি সেচের সমস্যা হয়।

কৃষি ঋণের অভাবঃ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষকই গরীব হয় এর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার সামর্থ্য তাদের থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সংগঠিত উৎস থেকে যে পরিমাণ তারা ঋণ নিতে চায় সে পরিমাণের তুলনায় কম হয় এবং এতে সুদের হার বেশি নেয় এতে করে অনেক কৃষকের সমস্যা হয়।

ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থাঃ আমাদের দেশে ফসলের অর্থাৎ কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার সমস্যার জন্য অনেক সময় ফসলের যে দাম হয় তার চেয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি কে ক্ষেত্রে কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার পোষায় না। অনেক কৃষক আছে ফসল ঘরে তোলার পর পরে বিক্রি করে দেয় এতে করে তারা ভালো দাম পায় না আবার যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বল্পতার জন্য এবং পরিবহনের জন্য তারা ভালো দাম পায় না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ আমাদের দেশের আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে আমাদের দেশে অনেক সময় অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় এর ফলে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না এতে করে কৃষকদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

কৃষি নীতির অভাবঃ আমাদের দেশের সরকারের কৃষি নীতির ক্ষেত্রে অনেক গাফিলতি দেখা যায় এতে করে আমাদের দেশের কৃষি উন্নয়ন এবং কৃষির সমস্যা দেখা দেয়।

কম উৎপাদনশীলতাঃ আমাদের দেশের কৃষকেরা অনেক সময় ফসল উৎপাদন করার ক্ষেত্রে খরচ বেশি হয় এবং সেগুলো বিক্রি করতে গেলে কম দামে বিক্রি করে। অনেক দেশ থেকে আমদানি করা হয় যার জন্য আমাদের দেশের দেশীয় পণ্যগুলো তখন মার খায়। আমাদের দেশের কৃষির উৎপাদন শীলতা কম।

বাংলাদেশের কৃষি সমস্যার সমাধান নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো
আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করাঃ আমাদের দেশের কৃষিকাজের ক্ষেত্রে আধুনিক নানা কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে তাহলে আমাদের দেশের কৃষি সমস্যার কিছুটা সমাধান করা সম্ভব হবে এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে ভালো ফসল উৎপাদন হবে।

কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করাঃ আমাদের দেশে এখন কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে তারা এ সকল ঋণ গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন ভালোভাবে করতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকরা যাতে করে বেশি উন্নতি করতে পারে এ সকল ঋণের মাধ্যমে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করাঃ কৃষকদের মাঝে সেচযন্ত্র সার বীজ কীটনাশক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে এতে করে কৃষকরা যাতে সময় মতো ফসল উৎপাদন করতে পারে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করাঃ আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় এ সকল দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আগে থেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে করে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়।

শস্য বহুমুখীকরণ করাঃ আমাদের দেশে কয়েকটি শস্য গুরুত্ব বেশি পায় কিন্তু এই সকল শস্য এর পাশাপাশি আরো সবজি আলু ইত্যাদি শস্য গুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে।

বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন করাঃ কৃষি শস্য বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে অর্থাৎ কৃষি শস্য পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হতে হবে তাহলে কৃষি শস্যের দাম ভালো পাওয়া যাবে এবং কৃষক লাভবান হবে এবং সময়মতো তার বিক্রি করতে পারবে।

এছাড়া উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে এবং কৃষি নীতির বা প্রকল্পের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে যাতে করে কৃষকরা তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে সহজেই। তবে আমাদের দেশের কৃষকদের কৃষি সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে এবং কৃষকের দ্বারা বেশি বেশি কৃষি শস্য উৎপাদন করতে পারবে এবং এতে করে আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে দেশের খাদ্য চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে।

কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে আমাদের সহায়তা করে

কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের জীবনকে নানাভাবে সহায়তা করছে এর ফলে আমাদের জীবন উন্নত হচ্ছে এবং কৃষি প্রযুক্তির ও উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে। কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে আমাদের সহায়তা করে এ বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো

কৃষিতে যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার
  • কৃষিতে যান্ত্রিক প্রযুক্তির ব্যবহার করার ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে সেগুলো হচ্ছে কোদাল, লাঙ্গল, শাবল ইত্যাদি।
  • বর্তমানে ফসল মাড়াই করার বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং ট্রাক্টর ও সেচ পাম্প ইত্যাদি ব্যবহার করছে।
  • এ সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার ফলে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করছে এবং মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে।
রাসায়নিক প্রযুক্তির ব্যবহার
  • মানুষ এখন ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছে এর ফলে উৎপাদন বাড়ছে।
  • রাসায়নিক এ সকল কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে পোকামাকড় এবং আগাছা দমন করা সহজ হচ্ছে এতে করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে।
জৈব প্রযুক্তি হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য নতুন কিছু উৎপাদনে জীবের ব্যবহার করা। জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ এখন নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর সৃষ্টি করছে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুষ্টি সমৃদ্ধ পোকা মাকর প্রতিরোধে এবং অধিক পরিমাণে উচ্চ ফলনশীল উদ্ভিদ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করছে। অতএব কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে নানাভাবে সাহায্য করে এবং উন্নত করছে।

কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে ব্যাখ্যা করো

কৃষি আমাদের জাতীয় উন্নয়নের সহায়তা করে কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে যুক্ত এবং আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং গ্রামের আশি ভাগ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। আমাদের বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। খাদ্য উৎপাদনের দিক থেকে এখন আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে আছে অন্যান্য দেশের তুলনায়। আগের থেকে এখন কৃষি উন্নয়ন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ফলে। 

আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনশীল এবং আমাদের দেশে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার কারণে ও আমাদের দেশের কৃষিতে অনেক সমস্যা হয় কিন্তু এখন এ সকল সমস্যা সমাধান করে আমাদের দেশের কৃষকরা বছরের সব সময় নানা ধরনের খাদ্য শস্য এবং ফসল উৎপাদন করছে। চলুন জানা যাক কৃষি যাতে উন্নয়নের সহায়তা করে কিভাবে

কৃষি আমাদের খাদ্যের যোগান দেয়ঃ কৃষি আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে সকল প্রকারের। চাল ধান গম পাট মাছ দুধ ডিম ইত্যাদি খাদ্যের যোগান দেয় এবং পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।

শিল্পের কাঁচামালের যোগান দেয়ঃ কৃষি আমাদের উৎপাদনের কাঁচামাল যথা পাট, চামড়া ,কাঠ ,তুলা ও রেশম ইত্যাদি সরবরাহ দিয়ে থাকে। কৃষির উন্নয়ন হলে শিল্পের ও উন্নয়ন হয়।

কৃষি আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ঃ কৃষি আমাদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয় এছাড়াও যে সকল শিল্প কৃষি পণ্য দ্বারা চালিত হয় সেগুলোতে মানুষ কর্মসংস্থান করে।

শিল্প পণ্য চাহিদা বৃদ্ধি করে কৃষিঃ কৃষি খাতে সাথে জড়িত জনগণ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে যেমন পোশাক, আসবাবপত্র, সার ও কীটনাশক ইত্যাদি এর ফলে শিল্প জাত পণ্য সামগ্রীর উৎপাদন বেড়ে যায় আর এগুলো কৃষকরা ক্রয়ের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।

কৃষি বিনিয়োগে যোগান দিয়ে থাকেঃ কৃষি খাতে যে সমস্ত আয় হয় তা অন্যান্য বিনিয়োগে যোগান দিয়ে থাকে। কিসে কর ব্যবস্থা কৃষি শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজস্ব ভূমি ইত্যাদি এর সকল ক্ষেত্রে এর আয় অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দেয়।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করেঃ কৃষি পণ্য আমদানি রপ্তানি করার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। যে সকল কৃষি পণ্য যেমন তুলা চা চিংড়ি পাট ইত্যাদি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে এখন।

জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ কৃষি জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অর্ধেক অংশই হচ্ছে কৃষি খাট থেকে আসে আর কি শিখাতের উন্নয়ন হলে কৃষিজাত পণ্য জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সাহায্য করবে এবং কৃষিতে আরো বিনিয়োগ বাড়বে।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে ব্যাখ্যা করো এবং কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কিভাবে আমাদের সহায়তা করে এছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অর্থাৎ কৃষির উন্নয়ন কৃষি উন্নয়নের জন্য আমরা কিভাবে উন্নতি লাভ করতে পারি এ সকল বিষয়ে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে আপনারা সবার সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url