প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

আসসালামু আলাইকুম, এখানে প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও প্লাস্টিক ব্যবহারের সচেতনতা এই বিষয় নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্লেষণ করেছি আপনারা যদি সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে দয়া করে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
এই পোস্টটিতে আমি পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর অনেক কথা আলোচনা করেছি এছাড়া প্লাস্টিক কাকে বলে ক প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক আমাদের কি কি ক্ষতি হয় প্লাস্টিক ব্যবহারের সচেতনতা পরিবেশের ক্ষতি হয় মাটির ক্ষতি হয় মাটির উর্বরতা কমেআরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এখানে এটা পড়ে আপনারা হয়তো অনেক সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল সবাইকে।

ভূমিকা

এখানে আমি প্লাস্টিক বলে কত প্রকার পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে এছাড়াও আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা প্রতিদিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নাঘর থেকে শুরু করে বাজার করা ঘরের আসবাব পত্র ও নানা কাজে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে থাকে এতে করে আমাদের অনেক ক্ষতি হয় পরিবেশের ক্ষতি হয় এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা।

আরো পড়ুনঃ আমিষের চাহিদা মেটাতে মাছের ভুমিকা বিস্তারিত জানুন


প্লাস্টিক হচ্ছে তাপ সহনীয় একটা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি হয় এটা সহজে তাপ দিলে গলে যায় আবার ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যায়। এটা মাটির উর্বরতা নষ্ট করে মাটি দূষিত করে বায়ু দূষিত করে ইকো সিস্টেম এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস চশমা বালতি গামলা জগ মগ কাপড় বাজার করা ব্যাগ পানির বোতল কোমল পানির বোতল এছাড়াও আরো অনেক প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস আছে। 

প্লাস্টিকের তৈরির জিনিস ব্যবহারে আমাদের অনেক সচেতন হতে হবে এবং মানুষের ও ছোট বাচ্চাদের গর্ভবতী মহিলাদের বয়স গতির এর ক্ষতিকর পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে আমাদের পরিবেশকে আমরা বাঁচাতেপারব।

প্লাস্টিক কাকে বলে প্লাস্টিক কত প্রকার

প্লাস্টিক হলো নিম্ন গলনাঙ্ক বিশিষ্ট এবং প্লাস্টিক তাপীয় অবস্থায় অর্থাৎ গরম করলে গোলে যে কোন আকার ধারণ করতে পারে এবং যদি তাকে ঠান্ডা করা হয় তাহলে যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়। প্লাস্টিকের শ্রেণীভেদ আছে এর মধ্যে হলো থার্মাল প্লাস্টিক, ফাইবার প্লাস্টিক, ইঞ্জিনিয়ারিং প্লাস্টিক ও রাবার প্লাস্টিক ইত্যাদি। আমরা প্রতিদিন নানা কাজে প্লাস্টিক ব্যবহার করে থাকে।এর বিভিন্ন প্রকার আছে প্লাস্টিক মোট ৭ প্রকারের হয়।

যথা পি ই টি, পিভিসি, এইচডিপিই, পিএস, এলডিপিই এছাড়া আরও নানা প্রকারের প্লাস্টিক হয় পানির বোতল, টুথ ব্রাশ, কলম, শ্যাম্পুর বোতল, বাজার করা ব্যাগ, রেক, চশমা, জানালা, ট্রাফিক লাইট, তন্তু, কাপড়, মাছ ধরার জাল, পাইপ , বালতি ইত্যাদি আরও নানা প্রকারের জিনিস প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়।যে সব প্লাস্টিকের গায়ে তীর চিহ্ন লাগানো লেভেল থাকে সেগুলো রিসাইকেল করা যায় এবং পুনরায় ব্যবহার করা যায় আর সংখ্যা লেখা থাকলে বুঝতে হবে সেটা কতবার রিসাইকেল করা যায়।

প্লাস্টিক ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়

প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস যা সহজে তাপে গলে যায় এবং যে পাশে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার শক্ত হয়ে যায়। আমরা প্রতিনিয়ত প্লাস্টিকের নানা রকমের জিনিস ব্যবহার করে থাকে দৈনন্দিন জীবনে। বাজার করা ব্যাগ থেকে শুরু করে খাবার পাত্র ব্রাশ ইত্যাদি প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস আমরা ব্যবহার করে থাকি। এটা তাপ সহনীয় সহজলভ্য সহজ উৎপাদন লভ্য প্রচুর ব্যবহার করা হয়।

আমরা যেহেতু প্রতিনিয়ত প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে থাকে তাই এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কারণ প্লাস্টিকের মধ্যে থাকে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যা আমাদের মানব স্বাস্থ্য জীবজন্তু পশু পাখি পরিবেশ সবকিছুর জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর। প্লাস্টিক মাটির সাথে সহজে মিশে যায় না বা পচে গলেও যায় না এজন্যই এটা মাটির জন্য খুবই ক্ষতি কারক । পানিতে পানিতে থেকে এটা পানির সাথে মিশে যায় না তাই পানিতে থাকা জীব জন্তু মাছ।

এর জন্য প্রচুর ক্ষতিকর মাটি দূষণ হয় এর কারণে উৎপাদন কমে যায়। বাস্তুতন্ত্রের অনেক ক্ষতি হয় আমাদের দেশে প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। ক্লোরিন যুক্ত প্লাস্টিক মাটির উপরের ও নিচের পানির সাথে মিশে পানি দূষিত করে। এতে করে খাদ্য শৃংখলের সমস্যা দেখা দেয় নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে অনেক প্লাস্টিক উৎপাদন করা হচ্ছে যার কারণে পরিবেশ দূষিত হতেও মানুষ স্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি ।

মানুষ ও জীবজন্তুর কোষের ভেতর অবস্থান করে এর ডিএনএ ও আর এন এ এর মিউটেশন ঘটানোর ফলে মানুষ ও জীবজন্তু ক্যান্সার নামক মরণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের ফুসফুসের সমস্যা গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা কমে এজমা হচ্ছে পলিথিন মাটির সাথে মিশে না ফলে মাটি দূষিত হয় প্লাস্টিকের তৈরি পাত্রে খাবার খাওয়ায় মানুষ অসুস্থ হয় প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও ব্যবহার কমছে না তাই সচেতন থাকা উচিত প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে।

প্লাস্টিকের বোতল পরিবেশের উপর কি প্রভাব ফেলে

প্লাস্টিকের বোতল পরিবেশের ওপর নানা রকম ভাবে প্রভাব ফেলে এটা ব্যবহার করা ভালো নয় তারপরও আমরা প্লাস্টিকে নানা ভাবে ব্যবহার করে থাকি এজন্য আমাদের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে এমন ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা তাদের সংস্পর্শে আসলে আরো সমস্যা বেড়ে যায়। পানির বোতল শ্যাম্পুর বোতল কোল্ড ড্রিংক।

এর বোতল এছাড়া আরো অনেক ধরণের প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয় নানা কাজে এগুলো পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতি কর। প্লাস্টিকের বোতল যখন মাটিতে ফেলা হয় তখন এটা মাটির সাথে পচে যায় না তখন মাটি দূষিত হয় এবং মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায় ফলে মানুষ ফসল চাষ করতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে করে মানুষ এবং জীবজন্তু উদ্ভিদ জগতের খাদ্য শৃংখলের সমস্যা দেখা দেয়।

বাস্তুতন্ত্রের ও অনেক সমস্যা হয় বাস্তু তন্ত্রের সমস্যা হলে জীবজন্তু ও প্রাণী কোলের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যায়। প্লাস্টিকের কন্টেনার এর মধ্যে খাবার রাখা হলে খাবারে বিপিএ চলে আসে এতে করে মানুষ অসুস্থ হয়। মাইক্রো ওভেনে যখন খাবার গরম করা হয় তখন প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো কারণ প্লাস্টিকের পাত্র মাইক্রো ওভেনে দিয়ে দিলে তা গরম হয়ে ওর ভেতরের রাসায়নিক পদার্থ খাবারের সাথে মিশে যায়।

এইসব প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করার ফলে মানুষ উদ্ভিদ কুল প্রাণীকূল অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বিশেষ করে মানুষ ও ছোট বাচ্চাদের সমস্যা হয় গর্ভবতী মহিলাদের ও অনেক সমস্যা হয় তারা গর্ভধারণের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে বাচ্চাদের ফুসফুসের সমস্যা হয় ক্যান্সার হতে পারে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে তাই আমাদের প্লাস্টিকের বোতল বা অন্যান্য যেগুলো প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি জিনিস সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক এর ব্যবহার কমাতে হবে

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক এর ব্যবহার কমাতে হবে কারণ প্লাস্টিকের মধ্যে নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগুলো আমাদের মানব শরীরের জন্য ও পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্লাস্টিক কে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা হয় যা কৃত্রিম পলিমার। আমরা প্রতিনিয়ত প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে থাকি।

আমরা প্রতিনিয়ত প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহার করে থাকি যেমন টুথব্রাশ, চিরুনি, কাপড়, তন্তু, বালতি, রেক, হেলমেট, রাস্তার লাইট, বাজার করা ব্যাগ, শ্যাম্পুর বোতল, কলম, ওয়ার্ড ড্রপ, গ্লাস, প্লেট, পানির বোতল, ড্রিংক এর বোতল ইত্যাদি আরো নানা ধরনের জিনিস। এগুলো ব্যবহার করে আমরা ফেলে দিই প্লাস্টিক এর একটি বিশেষ গুণ আছে এটি হলো এটা সহজে পচে বা গলে যায় না এটা পোস্টে বা গোলতে হাজার হাজার বছর চলে যায় তাও গলে না।

এজন্য এটা পরিবেশের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতি কারক। এটা মাটি দূষিত করে পানি দূষিত করে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে দেয় খাদ্য শৃংখলে সমস্যা দেখা দেয় বাস্তু তন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় প্রাণী কুল ও উদ্ভিদের অনেক মারাত্মক সমস্যা হয় এ সকল নানা সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে বা বন্ধ করতে হবে তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করা যাবে।

প্লাস্টিক এর গলনাংক কত

আমরা যে প্লাস্টিকগুলোর ব্যবহার করে থাকে তা বিভিন্ন রকমের হয় এর গলনা বিভিন্ন একেকটার একেক রকম। কয়েক প্রকার জৈব পদার্থ মিশ্রিত হয়ে প্লাস্টিক তৈরি করা হয় এটি নির্দিষ্ট পদার্থ নয় থার্মোপ্লাস্টিক নাম থেকে প্লাস্টিকের নাম এসেছে। বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিকের গলনাঙ্ক ও বিভিন্ন রকম হয় । পি ই টি প্লাস্টিক এর গলনাঙ্ক ২৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এদের রিসাইকেল করা যায় পিভিসি প্লাস্টিক এর গলনাঙ্ক ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।

প্লাস্টিক আমরা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে থাকি এগুলো রিসাইকেল করা যায় না। এইচডিপিই এই ধরনের প্লাস্টিকের গলনাঙ্ক ১২০ থেকে ১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় এগুলো রিসাইকেল করা যায় এবং ব্যবহার নিরাপদ। ১০০ থেকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয় পলিস্টিরিন প্লাস্টিকের এবং পলিপ্রো পাইলিন এর গলনাঙ্ক হয় ১২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এগুলো থেকে বোঝা যায় যে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিকের গলনাঙ্ক বিভিন্ন রকম হয়।

প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

প্লাস্টিকের অনেক ক্ষতিকর দিক আছে প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে মানুষের ক্ষতি করে জীবজন্তু পশুপাখে উদ্ভিদ জগতকে ক্ষতি করে মাটির ক্ষতি করে বায়ু দূষিত করে পানি দূষিত হয় এছাড়া আরো অনেক ক্ষতি হয় আমাদের পরিবেশের। গর্ভবতী মহিলাদের ছোট বাচ্চাদের ও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই প্লাস্টিক বর্জ্য এর কারণে। প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে আমাদের যে ক্ষতি হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো।

ক্যান্সারের কারণঃ আমরা অনেকে প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখি এবং সেটা গরম করে খায় প্লাস্টিকের পাত্রেই আর গরম করার সময় প্লাস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ খাবারের সাথে মিশে যায় ফলে ক্যান্সার হতে পারে। অটিজম হরমোন জনিত সমস্যার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে বাচ্চার ও বয়স্কদের ফুসফুসের সমস্যা হয় শ্বাসকষ্ট হয়এবং এজমা হয়।

সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতিঃ আমরা অনেক সময় প্লাস্টিকের তৈরি অনেক জিনিস নদী-নালা খাল বিল সমুদ্র তে ফেলে দিই আরে ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের জিনিস অনেক মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে আর এগুলো হজম করতে পারে না। হজম করতে না পারার কারণে অনেক সামুদ্রিক প্রাণী ও মাছ মারা যাচ্ছে।

মাটি দূষিত হচ্ছেঃ প্লাস্টিকের ব্যবহার করে আমরা মাটিতে ফেলে দি ই আর এ প্লাস্টিক মাটির সাথে মিশে যায় না বা পচে যায় না সহজে অনেক বছর সময় লাগে। প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মাটির কে দূষিত করে মাটির ক্ষতি করে মাটির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দেয় ফলে আমাদের কৃষি পণ্যের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে।

পরিবেশ দূষিত হচ্ছেঃ প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে আমরা নানাভাবে আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে থাকি পরিবেশের উপাদান হচ্ছে মাটি পানি বায়ু ইত্যাদি আর এগুলোই আমরা প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে দূষিত করে ফেলছি। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

ইকোসিস্টেম ব্যাহত হচ্ছেঃ ইকো সিস্টেম হচ্ছে জীব ও জড়ো এর মধ্যে পারস্পরিক অবস্থা যা একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকে এবং বসবাস করে।  পৃথিবীতে অনেক ধরনের ইকোসিস্টেম আছে যেমন পুকুরের ইকোসিস্টেম, ধানক্ষেতের ইকোসিস্টেম, নদীর ইকোসিস্টেম ও সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম ইত্যাদি। প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে আমাদের এই ইকোসিস্টেমের অনেক সমস্যা হচ্ছে যা উদ্ভিদ প্রাণীকুল উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্লাস্টিক ব্যবহারের সচেতনতা

আমরা প্রতিদিন প্রয়োজন নিয়ে বা অপ্রয়োজন নেই হোক না কেন প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বাড়াচ্ছে এতে করে আমাদের পরিবেশের ও জীবজগতের গোটা মানব সভ্যতার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এখন পৃথিবীতে প্রতি বছরের প্রায় ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিকের ব্যাগ উৎপাদন করা হচ্ছে। প্লাস্টিকের ব্যাগের এই উৎপাদন দিন দিন বাড়ার ফলে পৃথিবীর সাগর মহাসাগরে যেসব প্রাণী থাকে সেই প্রাণীর চেয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিমাণই বেশি হবে।

এই দিক থেকে ২৫০ টি প্রজাতি হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। অনেক প্রাণী ও পাখির দেহে ও প্লাস্টিকের নমুনা পাওয়া গেছে। প্লাস্টিকের অতি ক্ষুদ্র কণা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সাথে মিশে কিংবা বাতাস ও পানীয় বোতলের সাথে মিশে আমাদের অনেক ক্ষতি করছে। এজন্য আমাদের প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে পাটের অথবা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। প্লাস্টিকের তৈরি মোড়কে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্রের থেকে বিরত থেকে কাচের বা স্টিলের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার বাড়াতে হবে। ইচ্ছে করলে আমরা প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসের পরিবর্তে অন্য জিনিসের ব্যবহার বাড়াতে পারি জিনিস সহজলভ্য দামে কম তাই মানুষ বেশি ব্যবহার করে কিন্তু এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর এটা হয়তো অনেকেই বোঝেনা। এজন্য আমাদের অনেক সচেতন হতে হবে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে এবং আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা পরিচিত বন্ধু আত্মীয় সবার সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে এটা পড়ে আপনারা সবাই কিছু না কিছু উপকৃত হন ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url