উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয় তা জানুন
এখানে আমি উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয় এবং উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি । আমার এই লেখার মাধ্যমে হয়তো আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন তাই দয়া করে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরধ রইলো ।
আমরা এখানে উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয় এবং উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা ছাড়াও আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। উন্নত জাতি গাভী পালনের সুবিধা কেন পালন করব কিভাবে আমরা উন্নত জাতের গাভী চিনবো এবং কিভাবে এদের পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
উন্নত জাতের গাভী পালন করে আমাদের দেশে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এখানে আমররা কিভাবে উন্নত জাতের গাভী চিনব পালনের সুবিধা কিভাবে তাদের পরিচর্যা করব উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয় তা জানতে পারব উন্নত জাতের শরীরটা বেশ ঢেলে ঢালা হবে ।পেছনের দুই পায়ের মাঝে বেশ ফাঁকা থাকবে যাতে ওলানটা বেশ প্রশস্ত বড় হয় মাথা ছোট আকৃতির হবে শান্ত প্রকৃতির হবে।
আরও পড়ুনঃআমিষের চাহিদা মেটাতে মাছের ভুমিকা বিস্তারিত জানুন
উন্নত জাতের গাভী অর্থাৎ ফ্রিজিয়ান প্রতিদিনে ৪০ লিটার দুধ দেয় কিছু কিছু প্রজাতিরের গাভীর প্রতিদিন ২০ লিটার ৫০ লিটার করেও দুধ দেয়। উন্নত জাতের গাভী পালনের সুবিধার মধ্যে রয়েছে দুধ ও মাংস উৎপাদন ।দুধ উৎপাদনের জন্য গাভী পালন করা হয় এতে করে পুষ্টি চাহিদা মেটে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। এতে করে পরিবারের সচলতা ফিরে আসে। গাভীর পরিচর্যার ক্ষেত্রে বাসস্থান পরিচর্যা করা আবশ্যক কারণ বাসস্থান ও পরিষ্কার না রাখলে গাভীর বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে ।
ঘরে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ফ্যান দিতে হবে মলমূত্র পরিষ্কার করে রাখতে হবে।গোসল করাতে হবে। , গাভীর খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে দানাদার খাবার আঁশযুক্ত খাবার দিতে হবে পরিমিত পরিমান বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। গর্ভকালীন সময় ও গাভীর বিশেষ যত্ন নিতে হবে বেশি দানাদার খাবার ও আঁশযুক্ত খাবার দিতে হবে ক্যালসিয়াম ভিটামিন জাতীয় খাবারও দিতে হবে।আমরা যদি ভালো খামারি হতে চাই তাহলে আমাদের এর সকল বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায়
আমাদের দেশে এখন অনেকেই উন্নত জাতের গাভী পালন করে থাকে কিন্তু সঠিকভাবে উন্নত জাতের গাভী চিনতে পারেনা তাই অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয় তাই আমাদের সবার আগে উন্নত জাতের গাভী চিনতে হবে। উন্নত জাতের গাভীর শরীরটা বেশ বড় হবে কপাল চওড়া থাকবে এবং মাথা ছোট আকৃতির হবে। চোখ দুটো উজ্জ্বল হবে ।শরীরের চামড়া ঢিলে ঢালা হবে চর্বি থাকবে না পায়ের থেকে পেছনের পা বড় হবে এবং সামনের ও পেছনের পায়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ফাঁকা থাকবে।
ওলান বেশ বড় হবে এবং চর্বি থাকবে না। সামনের ও পেছনের পায়ের মধ্যে যদি বেশি ফাঁকা থাকে তাহলে ওলান বেশি বড় হয় প্রশস্ত হয় ও চর্বিযুক্ত হওয়া ভালো না বাঁট গুলো সমান আকৃতির হবে।ওলানা নরম হবে যাতে করে দুধ দোহানোর সময় কোন সমস্যা না হয় মাংসল ও চর্বিযুক্ত ও লান ভালো না এ ধরনের ওলানে দুধ কম থাকে। গাভীর পেটের নিচে শাখা-প্রশাখা যুক্তসিরা থাকে যা ওলানের সাথে যুক্ত থাকে। সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয় এবং মাতৃ ভাবা হয় একটি গাভী ১০ বছর পর্যন্ত দুধ ও বাচ্চা দেয়।
উন্নত জাতের গাভী পালনের সুবিধা
উন্নত জাতের গাভী পালনের সুবিধা রয়েছে অনেক কারণ এ থেকে যেমন কোন মাংস ও দুধ উৎপাদন করা যায় তেমনি দুধ থেকে মিষ্টি দধি মিঠাই রসমালাই বিস্কুট কেক ঘি ছানা মাখন ননী মাঠা চকলেট ইত্যাদি তৈরি করা যায়। এ থেকে আমাদের পুষ্টি পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় । উন্নত জাতের গাভী পালন করলে যেমন অর্থনৈতিক উন্নতি করা যায় তেমনি অনেকের ও কর্মসংস্থানের জায়গা হয়।দুধ ও মাংস বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০
লিটার করে দুধ দেয়। উন্নত জাতের গাভী হলেস্টেইন ফিজিয়ান জার্সি শাহীওয়াল থারপারকার ইত্যাদি এছাড়া আরো অনেক উন্নত জাতের গাভী রয়েছে। হলেস্টে ইন ফিজিয়ানগাভী প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ দেয় ।এদের ওজন ৫৫০ থেকে ৬৫০ কেজি হয় এদের বাছুরও ৩০ থেকে ৩৬ কেজি পর্যন্ত হয়। এসব কারণে আমাদের উচিত উন্নত জাতের গাভী পালন করা এবং এর থেকে অর্থনৈতিক উন্নতি করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় বেকারত্ব দূর হবে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয়
শাহীওয়াল
দুধ উৎপাদনের জন্য এ জাতের গাভী পালন করা হয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এ জাতের গাভী পাওয়া যায় এটা জেবু জাতীয় গরু এই গাভি প্রতিদিন ২০ লিটার দুধ দেয়। একটি গাভীর ওজন ৪৫০ থেকে ৫৫০ কেজি হয় এবং এদের গায়ের রং লাল ও হালকা হলুদ ফাকা সে রঙের হয় এরা শান্ত ও ধীর প্রকৃতির গাভী হয়।
হরিয়ানা
এ জাতের গাভী হরিয়ানায় পাওয়া যায় এ জাতের গাভী প্রতিদিন ২০ লিটার করে দুধ দেয়। হরিয়ানায় এ জাতের গাভীর নিয়ে পালন করা হয় কারণ হরি আনার গাভীর দুধ থেকে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা হয়। এছাড়া গির গাভী গুজরাটে পাওয়া যায় এই গাভী প্রতিদিন ৫০ লিটার দুধ দেয়। দুধ উৎপাদনের জন্য এসব গাভী পালন করা হয়ে থাকে।
ফ্রিজিয়ান
এ জাতের গরু শীত প্রধান অঞ্চলের দুধের জন্য এ জাতের গরু বিখ্যাত এই জাতের গরু প্রতিদিন ৪০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। এই জাতের গাভীর ওজন ৫৫০ থেকে ৬৫০ কেজি হয় আর ষাঁড় ৮০০ থেকে ৯০০ কেজি এ জাতের গরু আঠারো থেকে ২৪ মাসের মধ্যে গর্ভধারণ করে। এ জাতের গরুর থেকে ৫০ শতাংশ দুধ পাওয়া যায় যা দুধ উৎপাদনের দিকে থেকে প্রথম এ জাতের গাভী কালো ও সাদা রঙের হয়। প্রধানত ইউরোপ আফ্রিকা ও এশিয়াতে পাওয়া যায়।
সিন্ধি
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচি ও হায়দ্রাবাদের এই সিন্ধি জাতের গাভীর উৎপত্তি এ জাতের গাভীর গায়ের রং লাল , এরা প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ লিটার দুধ দেয়। গাভীর ওজন ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি ৪২৫ থেকে ৫০০ কেজি ষাঁড়ের ওজন।
উন্নত জাতের গাভী পালন পদ্ধতি ও পরিচর্যা
উন্নত জাতের গাভী পালনের জন্য অধিক পদ্ধতি রয়েছে এখন অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে গাভী পালন করে থাকে। গাভীর জন্য ৩৫ থেকে ৪০ বর্গফুট জায়গা দরকার একটি ঘরে দুই সারী করে গাভী পালন করা যায়। মেঝে থেকে চালের উচ্চতা ১০ ফুট হওয়া দরকার চালা যদি টিনের হয় তাহলে চাটাই ব্যবহার করতে হবে।এখন অনেক আধুনিক পদ্ধতিতে গাভী পালন করা হয় গাভীর ঘর সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে গাভীর প্রস্রাব পায়খানা করলে সাথে সাথে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মশা যেন না লাগে তার জন্য মশারি ব্যবহার করতে হবে গাভীর পায়ের নিচে এক ধরনের নরম স্পঞ্জ এর মত ফর্ম ব্যবহার করতে হবে গরমের সময় ফ্যানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।আলোর ব্যবস্থা ও করতে হবে। গরু গোসল করাতে হবে। ঠান্ডার সময় গরুর গায়ে বস্তা বেঁধে দিতে হবে। গরুর ঘরে যেন আলো ঢোকে সেদিকে নজর দিতে হবে এসব বিভিন্ন দিকে খেয়াল রেখে গাভী পালন করতে হবে তাহলে গাভী সব সময়ই ভালো থাকবে ।
এবং গাভীর কোন অসুখ হবে না। গাভীর পরিচর্যা করার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে।গাভীর যেন কোন অসুখ না হয় খেয়াল রাখতে হবে এর জন্য গাভীর ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অসুখ রয়েছে যেমন তরকা খোড়া রোগ গুটি বসন্ত ইত্যাদি এসব অসুখের জন্য টিকা ব্যবহার করতে হবে বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই গাভীকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। বাসস্থান ও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে নজর দিতে হবে পরিমিত পরিমান খাবার দিতে হবে ।
গাভীকে।তা না হলে গাভীর দুধের পরিমাণ কমে যাবে। প্রসবকালীন সময় গাভীর বিশেষ যত্ন নিতে হবে এ সময় গাভীকে বেশি করে ক্যালসিয়াম ও দানাাদার খাবার দিতে হবে যখন বাচ্চা দিবে তখন তারও পরিচর্যা করতে হবে গাভীর পাশাপাশি তার না হলে বাছুর এর সমস্যা হবে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাই আমাদের উচিত গাভীর সঠিক পরিচর্যা করা।
গাভীর বাসস্থান পরিচর্যা ও খাবার
গাভীর বাসস্থান সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে যদি বাসস্থান পরিষ্কার না রাখা হয় তাহলে গাভী বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হবে। ঘরে আলো ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। গরমের সময় ঘরে ফ্যান রাখতে হবে ঘরে সব সময় লাইট রাখতে হবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে মলত্যাগ করলে তা সাথে সাথে পরিষ্কার করে দিতে হবে।গাভীকে গোসল করাতে হবে গাভীর খুর পরিষ্কার করে দিতে হবে মোট কথা গাভীর বাসস্থান সব সময় পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
গাভীর খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে গাভীকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম হাড়ের গুড়া এবং ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্য লবন দিতে হবে। গাভীর খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় আঁশযুক্ত খাবার দানাদার খাবার এবংফিউ অ্যাডিটিভস।আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে খড় বিচারে কাঁচা ঘাস লতাপাতা সাইলের ইত্যাদি। দানাদার খাবার গুলো হলো শস্যদানা গমের ভুষি চালের গুড়া খৈল ইত্যাদি। এছাড়া গাভীকে পরিমাণ মতো খনিজ ক্যালসিয়াম ভিটামিন যুক্ত খাবার দিতে হবে।
পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি দিতে হবে।গাভী যে পরিমাণ খাবার খেতে পারে তাকে সে পরিমাণ খাবার দিতে হবে প্রতিদন। খাবারের দিকে এসব নিয়ম মেনে চললে একটি গাভী শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে এবং গর্ভকালীন সময়েও কোন সমস্যা হবে না এবং সে গাভিটি পরিমিত পরিমাণ দুধ দিতে পারবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গাভী পালন
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গাভী পালন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন আমাদের দেশে অনেকে গাভী পালন করলে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করছে। অনেকে এখন উন্নত জাতের গাভী দিয়ে খামার তৈরি করছে যাতে করে দেশের বেকারত্ব কিছুটা অন্তত দূর হচ্ছে। অনেক বেকার যুবক এখন এই খামারতে কাজ করতে পারছে।এতে করে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতিও হচ্ছে ব্যাপক।দুধ মাংস উৎপাদন করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে ।
দুধ থেকে ঘি মাখন ননী মাঠা মিষ্টি ছানা রসমালাই বিস্কুট কেক ক ইত্যাদি নানা ধরনের পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা হচ্ছে যা বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এখনো অনেকেই গাভী পালন করে গাভীকে নবী দেশের রপ্তানি করছে।আমাদের দেশে কোরবানির ঈদের সময় ভারত থেকে গরু আনা হয় এতে করে আমাদের দেশে গরুর চাহিদা পূরণ হয় অনেকটাই মাংসের চাহিদা পূরণ হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য গরু পালন করা আবশ্যক দুধের চাহিদা মিটবে অর্থনৈতিক উন্নতি হব।
লেখকের শেষ কথা
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে উন্নত জাতের গাভী চেনার উপায় এবং উন্নত জাতের গাভী প্রতিদিন কত লিটার দুধ দেয় এ ছাড়া আমরা এদের পরিচর্যা করব কিভাবে বাসস্থানের পরিচর্যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিভাবে সাহায্য করে গাভী ইত্যাদি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের পরিচিতদের সাথে সবাই শেয়ার করবেন যাতে করে এই পোস্টটি পড়ে সবাই উপকৃত হয়। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url