সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভালো আমি সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এটা পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল সবাইকে।
আমি এখানে খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা লেবু ও গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা কি গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এ সকল বিষয়ে আপনারা অনেক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি এ সকল বিষয়ে সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল সবাইকে।
ভূমিকা
পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরের ভেতরে ১০০ এর মধ্যে ৭০ ভাগই পানি। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পানির বিকল্প নেই। আমরা প্রতিনিয়ত নানা কাজে পানি ব্যবহার করে থাকি। এখানে আমি সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা এর কি কি ক্ষতিকর দিক আছে লবণ পানির উপকারিতা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। হালকা কুসুম গরম পানি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো।
আরও পড়ুনঃকাগজ শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল নিয়ে রচনা পড়ুন
আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। পেটে সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য অম্বল গ্যাস ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি গরম পানি খেলে। এর যেমন উপকারিতা আসে তেমনি কিছু অপকারিতা আছে এ সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রতিনিয়ত হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত তাহলে আমরা অন্তত কিছু জটিল রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।
খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেরই সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার অভ্যাস আছে সে পানি ঠান্ডা হোক কিংবা গরম। অনেকে আবার সকালে হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন। গরম পানি পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো অনেক উপকারে আসে। খালি পেটে গরম পানি পান করার উপকারিতা কথা নিচে বর্ণনা করা হলো প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খেলে আমাদের পেট ঠিক ভাবে কাজ করবে পেট পরিষ্কার রাখতে ভুমিকা রাখে। গ্যাসের সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যায়।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত। এই গরম পানি আমাদের শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং বিপাক প্রক্রিয়া সঠিক রাখে। ত্বক পরিষ্কার রাখার কাজ করে। যাদের ঠান্ডা কাশি এবং কফের সমস্যা আছে তারা হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন এতে করে ফুসফুস থেকে কফ বের হয়ে আসবে। আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত জাতীয় পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে খুলে দেয় ত্বকের ছিদ্র।
যাদের পেট ব্যথা হয় এবং অম্বলের সমস্যা আছে তারা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন আবার যাদের হজমে সমস্যা হয় তারা গরম পানি পান করলে হজমে ক্ষমতা বাড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন ও বাড়ে। গরম পানি পান করলে পিরিয়ডের ব্যথায় খুব সহজে আরাম পাওয়া যায় এবং জমাট বাধা রক্তকে ভাঙতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি স্নায়ুকে সজীব রাখে এবং ওজন কমাতে ও অনেক সাহায্য করে হাতে পায়ের গিটে ব্যথা দূর হয়।
গলার ভেতরে কোন সমস্যা হলে এবং মাথাব্যাথা হলে ও অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে গরম পানি। এর সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা সকলেই গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করব এবং মুক্তি পাব এ সকল রোগ থেকে।
গরম পানি খাওয়ার নিয়ম
খালি পেটে আমাদের প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস এবং খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া আমরা সারাদিন যে কোন সময় পানি খেতে পারি। পানি আমাদের শরীরের জন্য কোন প্রকার ক্ষতি করবে না বরং উপকারে আসবে। আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিবে এবং আমাদের তারুণ্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। পানির অপর নাম জীবন।
আমাদের প্রতিদিন পানি পান করা উচিত তাহলে আমাদের খাবার সহজে হজম হয়ে যাবে তা না হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বা অসুখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানি খাওয়ার কিছু নিয়েও আছে বয়স ভেদে এই পানি খাওয়ার নিয়ম প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া উচিত। শীতের সময় পানির চাহিদা কম হয় আর গরমের সময় বেশি হয়। যদি আমরা শারীরিক শ্রম বেশি করে তাহলে পানি বেশি খেতে হয়। শরীরের ওজনের ওপর ও নির্ভর করে কে কতটুকু পানি খাবে।
রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
শরীর থেকে টক্সিন বের করেঃ রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি খেলে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত জাতীয় পদার্থ ও টক্সিন বের হয়ে যায়। গরম পানি পান করলে বা খেলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এবং আমাদের শরীর থেকে বেশি করে ঘাম ঝরে যায়। ঝড় আর ফলে রক্ত সঞ্চালন আরো উন্নত হয়।
হজমের উন্নতি ঘটেঃ দিনের বেলা থেকে রাতের বেলায় আমাদের শরীরের ভেতরের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায় তাই রাতে যদি আমরা গরম পানি খায় তাহলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটবে তাই আমাদের রাতে ঘুমানোর সময় বা আগে গরম পানি খাওয়া উচিত।
বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাওয়াঃ আমরা যদি রাতে ঘুমোনোর আগে হালকা কুসুম গরম পানি খায় তাহলে আমাদের শরীরে পানির সমতা ঠিক থাকবে এবং আমাদের মন মেজাজ ঠিক থাকবে। এতে করে আমাদের ঘুম ভালো হবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে গরম পানি। আমরা যারা তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চায় তারা যেন সকালে এবং রাতে গরম পানি পান করি তাহলে অনেক উপকার পাব।
মানসিক চাপ দূরঃ আমাদের শরীরে যদি পানির অভাব দেখা দেয় তাহলে বেড়ে যায় মানসিক চাপের মাত্রা এতে করে আমাদের ঘুম কম হয় আর আমরা যদি ঘুমানোর আগে গরম পানি পান করে তাহলে আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।
হারানো পানি ফিরিয়ে আনেঃ ঘাম ও প্রস্রাব এর জন্য আমাদের শরীর থেকে প্রতিনিয়ত পানি বের হয়ে যায়। রাতের বেলা এই প্রক্রিয়া গুলো চলতেই থাকে। রাতেরবেলা এই প্রক্রিয়াগুলো চলার জন্য পানি আমাদের শরীরের ভেতরে হারিয়ে যাওয়া পানি ফিরিয়ে আনে বা এর অভাব পূরণ করে।
সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
৭০% শতাংশ পানি আমাদের শরীরে। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খায় তাহলে অনেক রোগের থেকে মুক্তি পেতে পারি। আর এই পানি যদি আমরা সঠিক নিয়মে সময় মত খায় তাহলে তা আমাদের শরীরে অমৃত এর মতো কাজ করবে। আমরা অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবো তাই আমাদের প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খেতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
পেটের সমস্যা দূর হবেঃ আমাদের যাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে বদহজম আছে তাদের এ সমস্যা দূর হবে। গ্যাস পেটব্যথা এবং অম্বলের সমস্যা আছে যাদের তাদের জন্য সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়া ভালো।
হজমের সমস্যা দূর হবেঃ হালকা কুসুম গরম পানি খেলে হজমে সমস্যা দূর হয় এটা আমাদের শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এতে করে হজম শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি হয় এবং আমাদের খাবার হজম হয়ে যায় সহজেই।
ওজন কমাতেঃ হালকা কুসুম গরম পানি আমাদের শরীরের ভেতর থেকে ওজন কমাতে সাহায্য করে। গরম পানি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এর ফলে প্রচুর ঘাম হয় এর জন্য ওজন কমে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। চর্বি কমে যায়।
ঋতুস্রাবের সময়ঃ আমাদের মধ্যে যেসব মহিলাদের ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যথা করে এবং রক্ত দলা দলা হয় তাদের জন্য হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত তাহলে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
মাথা ব্যথা ও গলার সমস্যা সমাধানেঃ মাথাব্যথা ও গলায় যাদের সমস্যা আছে তাদের হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত তাহলে তারা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। যাদের গলা শুকিয়ে আসে তারা অল্প পরিমাণে গরম পানি খেতে পারেন।
ঠান্ডা কাশিতেঃ আমাদের বড়দের বা বাচ্চাদের অনেক সময় ঠান্ডা জ্বর কাশি হয় তারা যদি গরম পানি খায় তাহলে তাদের এই সমস্যা থেকে অনেকটা সমাধান পাবে। আবার যাদের কফ জমে থাকে তাদের ফুসফুস থেকে জমাট বাধা কফ বের করে দিতে সাহায্য করে এই গরম পানি।
মধু ও গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের সবারই গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া উচিত কারণ এতে অনেক কার্যকারিতা আছে। মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ এছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিং ক ,পটাশিয়াম ভিটামিন ইত্যাদি এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারী। আমরা মধু খায় কিন্তু এর কি গুন আছে এটা জানি না অনেকেই আর তা যদি গরম পানির সাথে মিশিয়ে খায় তাহলে তার উপকারিতা আরো অনেক গুন বেড়ে যায়। এর উপকারিতা গুলো হল
হজমে সাহায্য করেঃ রাতে যদি আমরা মধুর সাথে গরম পানি মিশিয়ে খায় তাহলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া ভালো কাজ করবে কারণ মধুতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এই বৈশিষ্ট্য আমাদের পেটের এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। ভালো কাজ করে অন্ত্রের গতিবিধে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।
কাশি থেকে মুক্তি দেয়ঃ রাতের বেলায় কাশির সমস্যা বেশি দেখা যায় বিশেষ করে বাচ্চাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হয় এ সময় গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া উচিত তাহলে এর উপশম পাওয়া যাবে। এটা সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। ২০০৭ সালে একটি গবেষণায় পরীক্ষা থেকে পাওয়া যায় এই তথ্যটি।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়াঃ আমাদের মধ্যে যাদের পায়খানা কষা অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তারা এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
ওজন কমাতেঃ সকালে খালি পেটে আমরা যদি মধু ও গরম পানি একসাথে করে মিশিয়ে খায় তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে গলা ব্যথা ও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাবো ভালো ঘুম হবে। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকবে এবং ক্যালরি বার্ন সম্ভব হবে।
লবণ দিয়ে গরম পানি খেলে কি হয়
- ঠান্ডা লাগলে এবং গলা ব্যথা হলে লবণ দিয়ে গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- দাঁত ও মাড়ির রক্তক্ষরণের জন্য জন্য উপকার হয়।
- প্রদাহ ও সর্দি দূর করতে সাহায্য করে।
- মুখ গহবরের ভেতরে অম্ল ও ক্ষারের মাত্রা ঠিক রাখে।
- মারি ফোলা এবং মুখ এবং গলার ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
- লবণ ও গরম পানির মিশ্রণ আমাদের স্বাস্থ্যের পি এইচ এর ভারসাম্য ঠিক রাখে।
- মুখের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
- শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখে এবং নাকের সর্দি দূর করে।
- রক্ত যেন জমাট না বাধে সেজন্য নাকের ভেতরের ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
- টনসিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- মুখের ভেতরে দুর্গন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।
গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
আমরা যদি অতিরিক্ত গরম পানির করি তাহলে আমাদের খাদ্যনালে টিস্যুর সমস্যা দেখা দিতে পারে জিব্বা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এতে করে আমরা কোন প্রকার খাবারে স্বাদ পাব না। আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইট পাতলা হয়ে যাবে ফলে সোডিয়ামের মাত্রা কম হবে আর আমাদের শরীরে এই সোডিয়ামের মাত্রা বেশি বা কম হওয়া অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়বে। বেশি মাত্রায় গরম পানি পান করলে ক্লান্তি এবং মাথা ব্যথা , দুর্বলতা ও খিচুনি হতে পারে।
মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সবার ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর বেশি গরম পানি খাওয়া উচিত নয় তাহলে গলায় ক্ষত হতে পারে এবং ঠোঁট পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে গরম পানি খেলে আমাদের শরীরে নানা রকমের ওষুখ দেখা দিতে পারে সেগুলো পেটের সমস্যা, ডায়াবেটিস, শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে, কিডনিজনিত সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত আরো অনেক জটিল রোগের।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে এই পোস্টটির মধ্যে আলোচনা করেছে। এটা পড়ে আপনারা অনেক উপকারিতা বোধ করবেন। এটা পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা বন্ধু আত্মীয়-স্বজন পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আমার ভালো লাগবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url